
বর্ষায় ও ফসল কাটার মরসুমে মেহেবুবনগরের মানুষজন নিজেদের জেলায় বা তার আশেপাশের অঞ্চলে কৃষি-শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। চাষের মরসুম শেষ হলে, অথবা ফলন ভালো না হলে, তাঁরা গ্রামাঞ্চল থেকে পাড়ি দেন শহরের নির্মাণক্ষেত্রে কাজের সন্ধানে

ঘর-বাড়ি ছেড়ে তাঁরা চলে আসেন এক নতুন অচিন শহরে

নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়া অবধি, রাস্তার পাশে টিন আর প্লাস্টিক দিয়ে বানানো যৎসামান্য বন্দোবস্তের ঝুপড়িই হয়ে ওঠে মুম্বইয়ে তাঁদের অস্থায়ী মাথাগোঁজার ঠাঁই

মাটি কাটা, খোদাই, কংক্রিট্রের জঞ্জাল পরিষ্কার করা, মাটির নিচে ৩০ ফিট অবধি গভীরে নেমে খানাখন্দ সাফাই করা — এই সবই তাঁদের করতে হয়। আর সবটাই তাঁরা করেন কোনও বিমা বা আপৎকালীন ক্ষতিপূরণ ছাড়াই

দৈনিক ৩০০ টাকা বা তারও কমে শ্রমিকরা এই সব কাজ করেন। একজন তেলেগু-ভাষী মুকদম বা কর্মকর্তা তাঁদের মজুরি দেন, এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে শহরের বিভিন্ন নির্মাণক্ষেত্রে তাঁদের কাজ জোগাড় করে দেন

এইসব স্থানে যে মহিলা শ্রমিকেরা কাজ করেন তাঁরা এখানে প্রায়শই ঘটে চলা যৌন হেনস্থার কথা বলেন

ছোটো বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে আসা যায় না বলে মায়েরা বাধ্য হন তাদের সঙ্গে নিয়ে আসতে। সিমেন্ট কংক্রিটের বিপজ্জনক স্তূপগুলো হয়ে ওঠে এই শিশুদের খেলার জায়গা। রাস্তার কুকুর হয়ে ওঠে তাদের খেলার সাথী। ধ্বংসস্তূপ আর আবর্জনার মধ্যে খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে পথের ধারেই তারা ঘুমিয়ে পড়ে

অস্থায়ী বাসস্থানে শ্রমিকদের জন্য পানীয় জল, শৌচাগার বা বিদ্যুৎ সংযোগের কোনও বন্দোবস্তই থাকে না

দেশে মজুরি বাবদ তাঁরা যা উপার্জন করেন তার তুলনায় শহরে আয় বেশি হয় বলে তাঁরা শহরমুখো হন
অনুবাদ: চিলকা