

বাঁদিকে: মিছিলের প্রথম দিন (২০শে ফেব্রুয়ারি , ২০১৯) ৫০ বছর বয়সী ওয়ারলি আদিবাসী সোন্য়া মালকারি তাঁদের পরম্পরাগত বাদ্যযন্ত্র তারপা বাজাচ্ছিলেন । সোন্য়া মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বিক্রমগড় তালুকের সাখরে গ্রাম থেকে এসেছিলেন এবং নাসিকের মহামার্গ বাস স্ট্যান্ডে বাজাচ্ছিলেন , এখানে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার কৃষক সমবেত হয়েছিলেন । ডানদিকে: ৫৫ বছর বয়সী বসন্ত সহারে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার সুরগনা তালুকের ওয়াঙ্গন সুলে গ্রাম থেকে এসেছেন । তিনি বাজাচ্ছেন পাভরি। বসন্ত কোকনা নামের তপশিলি জনজাতির মানুষ , তিনি বনবিভাগের দুই একর জমিতে চাষাবাদ করেন

ভক্তিমূলক লোকগীতি গাইতে গাইতে বিভা গালে চিপলি বাজাচ্ছিলেন । তিনি হলেন এক কৃষ্ণ- উপাসক সম্প্রদায়ের মানুষ , তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভক্তিগীতি শোনান এবং মাধুকরী করেন। বিভা এসেছিলেন নাসিক জেলার পেইন্ট তালুকের রায়তলে গ্রাম থেকে

৪৯ বছর বয়সী গুলাব গাভিত (বাঁদিকে) বাজাচ্ছেন টুনটুনা (এক তার বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্র) । তিনি মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার দিন্দোরি তালুকের ফোপশী গ্রাম থেকে এসেছেন। ভাউসাহেব চব্হন (ডানদিকে , লাল টুপি পরিহিত) , বয়স ৫০ , তিনিও এসেছেন ফোপশী গ্রাম থেকে , বাজাচ্ছেন খঞ্জরী (খোল জাতীয় বাদ্যযন্ত্র) । গাভিত এবং চব্হন দুজনেই দিন্দোরি তালুক থেকে আগত সহকৃষকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে কৃষক-প্রতিবাদের প্রশংসায় গান গাইছেন

২১শে ফেব্রুয়ারির রাতে মহারাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিদল ও অল ইন্ডিয়া কিষান সভার নেতাদের মধ্যে বৈঠকের ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা কৃষকরা মশগুল গান ও সংহতি নৃত্যে
বাংলা অনুবাদ : স্মিতা খাটোর